২০৫০ সাল। দেশে জনসংখ্যা হ্রাসের নীতি অত্যন্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০৩৫ সালে প্রণীত হয়েছে মানব প্রজনন নিয়ন্ত্রণ আইন, যার মূলকথা : একটি মৃত্যুর বিনিময়ে একটি জন্ম। কোনও পরিবারে কারও মৃত্যু না হলে কোনও সন্তান জনমদান করা যাবে না। এ- আইন অমান্য করার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কারও মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে ওই ব্যক্তির পরিবার একটি সন্তানের জন্ম দিতে পারবে। কারও মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে সন্তান না নিলে ওই মৃত্যু মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে। বৃদ্ধ পিতা বা মাতার মৃত্যু হলে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ পুত্র বা কন্যা সন্তান জন্মদানের অনুমতি লাভ করে। ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক পাশ নয় এমন কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর বিনিময়ে সন্তান জন্ম দেওয়া যাবে না। গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করার জন্য সরকার উৎসাহিত করে। এই মেয়াদ পেরিয়ে গেলে গর্ভপাত আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ক্যান্সার ও অনান্য প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত গরিব বয়স্ক নারীপুরুষকে উচ্চমূল্যে কিনতে পাওয়া যায়। এই বিশেষ রাষ্ট্রীয়-সামাজিক প্রেক্ষাপটে উপস্থাপিত প্রিসিলা এক যুবতী নারী, যে রাসেলকে বিয়ে করেছিল ভালোবেসে। রাসেলের বাবা নেই। মা আছে, কিন্তু অচিরে তাঁর মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই। তা ছাড়া রাসেলের একটি ছোট ভাই আছে, সেও বিবাহিত এবং সন্তান নিতে ইচ্ছুক। কিন্তু তার সামনে কোনও পথ নেই। স্বামীকে ফাঁকি দিয়ে গর্ভধারণ করলে রাষ্ট্র স্বামীকে ফাঁসিতে লটকাবে। তাদের এমন আর্থিক সঙ্গতিও নেই যে মরণাপন্ন কোনও মানুষের প্রাণস্বত্ব কিনে সন্তানলাভের অনুমতি সংগ্রহ করবে। প্রিসিলার জন্য এক মহাসংকট, যার বিবরণ পাঠ করতে করতে পাঠকের শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসবে। পাঠকের মনে হবে লেখক তাঁকে টেনে নিয়ে গেছেন ২০৫০ সালের কল্পিত সেই দেশে, যেখানে মা ডাক শোনার বাসনায় মরিয়া নারীরা স্বামী ও প্রেমিকদের ফাঁসিকাষ্ঠে পাঠিয়ে দিতে বা বিষ খাওয়াতে দ্বিধা করে না, শ্বশুর-শাশুড়ির মৃত্যুর অপেক্ষায় প্রহর গোনে।
২০৫০ সাল। দেশে জনসংখ্যা হ্রাসের নীতি অত্যন্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০৩৫ সালে প্রণীত হয়েছে মানব প্রজনন নিয়ন্ত্রণ আইন, যার মূলকথা : একটি মৃত্যুর বিনিময়ে একটি জন্ম। কোনও পরিবারে কারও মৃত্যু না হলে কোনও সন্তান জনমদান করা যাবে না। এ- আইন অমান্য করার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কারও মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে ওই ব্যক্তির পরিবার একটি সন্তানের জন্ম দিতে পারবে। কারও মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে সন্তান না নিলে ওই মৃত্যু মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে। বৃদ্ধ পিতা বা মাতার মৃত্যু হলে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ পুত্র বা কন্যা সন্তান জন্মদানের অনুমতি লাভ করে। ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক পাশ নয় এমন কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর বিনিময়ে সন্তান জন্ম দেওয়া যাবে না। গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করার জন্য সরকার উৎসাহিত করে। এই মেয়াদ পেরিয়ে গেলে গর্ভপাত আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ক্যান্সার ও অনান্য প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত গরিব বয়স্ক নারীপুরুষকে উচ্চমূল্যে কিনতে পাওয়া যায়। এই বিশেষ রাষ্ট্রীয়-সামাজিক প্রেক্ষাপটে উপস্থাপিত প্রিসিলা এক যুবতী নারী, যে রাসেলকে বিয়ে করেছিল ভালোবেসে। রাসেলের বাবা নেই। মা আছে, কিন্তু অচিরে তাঁর মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই। তা ছাড়া রাসেলের একটি ছোট ভাই আছে, সেও বিবাহিত এবং সন্তান নিতে ইচ্ছুক। কিন্তু তার সামনে কোনও পথ নেই। স্বামীকে ফাঁকি দিয়ে গর্ভধারণ করলে রাষ্ট্র স্বামীকে ফাঁসিতে লটকাবে। তাদের এমন আর্থিক সঙ্গতিও নেই যে মরণাপন্ন কোনও মানুষের প্রাণস্বত্ব কিনে সন্তানলাভের অনুমতি সংগ্রহ করবে। প্রিসিলার জন্য এক মহাসংকট, যার বিবরণ পাঠ করতে করতে পাঠকের শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসবে। পাঠকের মনে হবে লেখক তাঁকে টেনে নিয়ে গেছেন ২০৫০ সালের কল্পিত সেই দেশে, যেখানে মা ডাক শোনার বাসনায় মরিয়া নারীরা স্বামী ও প্রেমিকদের ফাঁসিকাষ্ঠে পাঠিয়ে দিতে বা বিষ খাওয়াতে দ্বিধা করে না, শ্বশুর-শাশুড়ির মৃত্যুর অপেক্ষায় প্রহর গোনে।