১৯৮৫ সালে একদিন লক্ষ্মীবাজারের শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী লেনের বাসিন্দা যুবক আব্দুল মজিদ রায়সাহেব বাজারে যাওয়ার পথে কারকুন বাড়ি লেন থেকে বের হয়ে নবাবপুর রোডে উঠলে তার ডান পায়ের স্পঞ্জের স্যান্ডেলের ফিতে ফট করে ছিঁড়ে যায়। এভাবে এই কাহিনির শুরু। ৬২ পৃষ্ঠা পরে কাহিনির শেষে দেখা যায়, আব্দুল মজিদ দৈনিক ইত্তেফাকে একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে তার বাড়িটি বিক্রি করে লক্ষ্মীবাজার থেকে বসত উঠিয়ে চলে যায়, ফলে তার অস্তিত্বই যেন মুছে যায়। কিন্তু শহীদুল জহির এইটুকু পরিসরে ফুটিয়ে তুলেছেন একাত্তরের নয় মাসে ঢাকা শহরের একটি মহল্লার সমগ্র জীবন। তখন কী ঘটেছিল, তারপর দেশ স্বাধীন হওয়ার দেড় দশক না পেরোতেই আব্দুল মজিদকে কেন তার বসতবাড়ি বিক্রি করে দিয়ে চলে যেতে হলো, এই নিদারুণ প্রশ্নের মধ্যে নিহিত রয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতির এক নিষ্করুণ বাস্তবতা। সোনায় মোড়ানো হাতের কথাশিল্পী শহীদুল জহিরের এই উপন্যাস বাংলা কথাসাহিত্যে এক অভিনব সংযোজন । বাংলা আখ্যানগদ্যের এমন অপূর্ব রূপ ও ভঙ্গি এর আগে তো ছিলই না, এখনও বিরল।
১৯৮৫ সালে একদিন লক্ষ্মীবাজারের শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী লেনের বাসিন্দা যুবক আব্দুল মজিদ রায়সাহেব বাজারে যাওয়ার পথে কারকুন বাড়ি লেন থেকে বের হয়ে নবাবপুর রোডে উঠলে তার ডান পায়ের স্পঞ্জের স্যান্ডেলের ফিতে ফট করে ছিঁড়ে যায়। এভাবে এই কাহিনির শুরু। ৬২ পৃষ্ঠা পরে কাহিনির শেষে দেখা যায়, আব্দুল মজিদ দৈনিক ইত্তেফাকে একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে তার বাড়িটি বিক্রি করে লক্ষ্মীবাজার থেকে বসত উঠিয়ে চলে যায়, ফলে তার অস্তিত্বই যেন মুছে যায়। কিন্তু শহীদুল জহির এইটুকু পরিসরে ফুটিয়ে তুলেছেন একাত্তরের নয় মাসে ঢাকা শহরের একটি মহল্লার সমগ্র জীবন। তখন কী ঘটেছিল, তারপর দেশ স্বাধীন হওয়ার দেড় দশক না পেরোতেই আব্দুল মজিদকে কেন তার বসতবাড়ি বিক্রি করে দিয়ে চলে যেতে হলো, এই নিদারুণ প্রশ্নের মধ্যে নিহিত রয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতির এক নিষ্করুণ বাস্তবতা। সোনায় মোড়ানো হাতের কথাশিল্পী শহীদুল জহিরের এই উপন্যাস বাংলা কথাসাহিত্যে এক অভিনব সংযোজন । বাংলা আখ্যানগদ্যের এমন অপূর্ব রূপ ও ভঙ্গি এর আগে তো ছিলই না, এখনও বিরল।