আমি সূত কিংবা সূতপুত্র, কিংবা আমি যে-ই হই না কেন
জন্ম আমার দৈবের অধীন, কিন্তু কর্ম আমার পৌরুষের
এমনটাই বলেছিলেন কর্ণ। যখন মানুষ কুলগৌরবে গৌরবান্বিত হয়ে জন্মের কারণে সুবিধা লাভ করত, ছোটজাত মেনে নিত উচ্চ বর্ণের চাপিয়ে দেওয়া নিয়ম, তখন কর্ণ সে পুরুষ, যিনি বহুযুগ ধরে চলে আসা নিয়মের বিরোধিতা করেছিলেন। জন্মের পরই মাতৃ পরিত্যক্ত সেই কর্ণ, মহাবীর কর্ণ, দাতা কর্ণ নামে পরিচিত হন।
মহাভারতকে আশ্রয় করে কর্ণকে নিয়ে এ উপন্যাস। মহাভারতে কর্ণ কখনও সূতপুত্র, কখনও সূর্যদেবের পুত্র। কিন্তু 'রাধেয়' তাঁর সে সব পরিচয় বহন করেও আরও বৃহৎ কোন অনুসন্ধানে এগিয়ে চলে। 'রাধেয়' একজন মানুষের গল্প। দোষে গুণে যে মানুষ নিজেকে খুঁজে বেড়ায়, নিজের জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়ায়। সে খোঁজের মাঝে সমাজের বাঁধা, নিজের বিবেকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব। সবকিছু মিলিয়ে কর্ণকে, কিংবা নিজেকে খুঁজে পাওয়ার যাত্রার নাম 'রাধেয়'।