আমি বড় হয়েছি রামপুরায়, একটা একান্নবর্তী পরিবারে। যাবতীয় কাজ ও অকাজের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল নসিব; আমার মেঝ চাচার ছেলে। স্কুল জীবনের একটি বিশেষ ঘটনার পর আমি কানে ধরে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, সন্ত্রাসীদের ছায়াও মাড়াব না। ন্যায়ের পথে চলব, শুদ্ধ জীবন-যাপন করব।
কলেজে ভর্তি হবার পর আমাদের পাখা গজিয়ে গেলো৷ ক্লাস পালানোর অযুহাতে সায়েন্স ক্লাব, তারপর সত্যি সত্যি একটা বড়সড় সায়েন্স ফেয়ার আয়োজন করতে গিয়ে আমার অবস্থা খারাপ। এদিকে আমার সর্বক্ষণের সঙ্গী ডায়লগ জিসান এবং শুইরা বয়তান একের পর এক ঝামেলা পাকাতে ব্যস্ত! এরই মাঝে অডিশনের সময় কলেজের এক বড় ভাইয়ের সাথে গ্যাঞ্জাম করে নিখোঁজ হয়ে গেলো বলদা নাযিফ। লোকমুখে শোনা যাচ্ছে খুন-খারাপিও হয়ে যেতে পারে। তার ওপর নসিব প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যশিল্পী হবার চেষ্টায় ব্যস্ত! ভালো কথা, এককালে নারীবিদ্বেষী মনোভাব থাকা সত্বেও খ্যাতির নেশা এবং রকস্টার হবার আকাঙ্খার পাশাপাশি ইদানীং আমরা প্রেমের প্রতি কিঞ্চিৎ দুর্বল হয়ে পড়েছি।
ঘটনাগুলো ম্যাজিকাল নব্বই দশকের ঠিক পরপর, শূন্য দশকের প্রাক্কালে। যে সময়ে মাসে একটা করে চিঠি লিখলেও কারও সাথে দূরত্ব কমতো না। শুক্রবার মানে ছিলো পরিবারের সবাই একসাথে টিভির সামনে বসে বাংলা সিনেমা দেখার আনন্দময় দিন। তখন রং নম্বরে টেলিফোন চলে গিয়ে প্রেম হতো। অপরিচিত কেউ হুটহাট ফোন করে ছয়-সাত বিল্ডিং পরের প্রতিবেশীকে চাইলে তাকে দৌড়ে গিয়ে ডেকে আনতে কেউ ক্লান্তি বোধ করতো না।
ইচ্ছে ছিলো নিজের কৈশোরের শেষভাগে ডুব দিয়ে একটা ইয়াং এডাল্ট ফিকশন লেখার। আপনারও যদি এক বিষন্ন বিকেলে এমন ইচ্ছে জাগে, তবে আমন্ত্রণ রইলো 'কলেজ খুইলাছে'- এর পাতায়।
আমি বড় হয়েছি রামপুরায়, একটা একান্নবর্তী পরিবারে। যাবতীয় কাজ ও অকাজের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল নসিব; আমার মেঝ চাচার ছেলে। স্কুল জীবনের একটি বিশেষ ঘটনার পর আমি কানে ধরে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, সন্ত্রাসীদের ছায়াও মাড়াব না। ন্যায়ের পথে চলব, শুদ্ধ জীবন-যাপন করব।
কলেজে ভর্তি হবার পর আমাদের পাখা গজিয়ে গেলো৷ ক্লাস পালানোর অযুহাতে সায়েন্স ক্লাব, তারপর সত্যি সত্যি একটা বড়সড় সায়েন্স ফেয়ার আয়োজন করতে গিয়ে আমার অবস্থা খারাপ। এদিকে আমার সর্বক্ষণের সঙ্গী ডায়লগ জিসান এবং শুইরা বয়তান একের পর এক ঝামেলা পাকাতে ব্যস্ত! এরই মাঝে অডিশনের সময় কলেজের এক বড় ভাইয়ের সাথে গ্যাঞ্জাম করে নিখোঁজ হয়ে গেলো বলদা নাযিফ। লোকমুখে শোনা যাচ্ছে খুন-খারাপিও হয়ে যেতে পারে। তার ওপর নসিব প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যশিল্পী হবার চেষ্টায় ব্যস্ত! ভালো কথা, এককালে নারীবিদ্বেষী মনোভাব থাকা সত্বেও খ্যাতির নেশা এবং রকস্টার হবার আকাঙ্খার পাশাপাশি ইদানীং আমরা প্রেমের প্রতি কিঞ্চিৎ দুর্বল হয়ে পড়েছি।
ঘটনাগুলো ম্যাজিকাল নব্বই দশকের ঠিক পরপর, শূন্য দশকের প্রাক্কালে। যে সময়ে মাসে একটা করে চিঠি লিখলেও কারও সাথে দূরত্ব কমতো না। শুক্রবার মানে ছিলো পরিবারের সবাই একসাথে টিভির সামনে বসে বাংলা সিনেমা দেখার আনন্দময় দিন। তখন রং নম্বরে টেলিফোন চলে গিয়ে প্রেম হতো। অপরিচিত কেউ হুটহাট ফোন করে ছয়-সাত বিল্ডিং পরের প্রতিবেশীকে চাইলে তাকে দৌড়ে গিয়ে ডেকে আনতে কেউ ক্লান্তি বোধ করতো না।
ইচ্ছে ছিলো নিজের কৈশোরের শেষভাগে ডুব দিয়ে একটা ইয়াং এডাল্ট ফিকশন লেখার। আপনারও যদি এক বিষন্ন বিকেলে এমন ইচ্ছে জাগে, তবে আমন্ত্রণ রইলো 'কলেজ খুইলাছে'- এর পাতায়।