একদা কলকাতা নামের এই শহরে শুভঙ্কর নামে ৪৫ বছর বয়সী এক সদ্যজাত যুবক ভালোবেসে ফেলেছিল নন্দিনী নামের এক বিদ্যুৎ-শিখাকে। গেরিলা-যুদ্ধের মতো তাদের গোপন ভালোবাসাবাসির নিত্যসঙ্গী ছিলাম আমি। আর নিজের খাতায় রোজ টুকে রাখতুম তাদের আবীর-মাখানো কথোপকথনগুলো। সেই শুভঙ্করের বয়স এখন ৫০। সেই নন্দিনী হয়তো এখন বন্দিনী নিদারুণ-সুখের কোনো সোনার পালঙ্কে। ওদের মাঝখানে নদী আর খেয়া দুটোই গেছে হারিয়ে। একবার ভেবেছিলুম ঝড়ের অন্ধকারে উড়িয়ে দেই টুকরো এইসব কাগজ। পরে মনে হলো, যারা ভালোবাসে, ভালোবেসে জ্বলে, জ্বলে পৃথিবীর দিগন্তকে রাঙিয়ে দেয় ভিন্ন এক গোধূলি-আলোয়, তাদের সকলেরই অনেক আপন-কথা, গোপন-কথা রয়ে গেছে এর ভেতরে। এমনকি আমার মৃত্যুর পরেও যাদের রক্তে শুরু হবে তুমুল শ্রাবণের চাষ-বাস, তাদের মুখগুলোও ভেসে উঠলো চোখে। অগত্যা ছিন্ন্-ভিন্ন ওই সব কাগজগুলোকে হেলাফেলায় মরতে দিতে পারলাম না আর।
একদা কলকাতা নামের এই শহরে শুভঙ্কর নামে ৪৫ বছর বয়সী এক সদ্যজাত যুবক ভালোবেসে ফেলেছিল নন্দিনী নামের এক বিদ্যুৎ-শিখাকে। গেরিলা-যুদ্ধের মতো তাদের গোপন ভালোবাসাবাসির নিত্যসঙ্গী ছিলাম আমি। আর নিজের খাতায় রোজ টুকে রাখতুম তাদের আবীর-মাখানো কথোপকথনগুলো। সেই শুভঙ্করের বয়স এখন ৫০। সেই নন্দিনী হয়তো এখন বন্দিনী নিদারুণ-সুখের কোনো সোনার পালঙ্কে। ওদের মাঝখানে নদী আর খেয়া দুটোই গেছে হারিয়ে। একবার ভেবেছিলুম ঝড়ের অন্ধকারে উড়িয়ে দেই টুকরো এইসব কাগজ। পরে মনে হলো, যারা ভালোবাসে, ভালোবেসে জ্বলে, জ্বলে পৃথিবীর দিগন্তকে রাঙিয়ে দেয় ভিন্ন এক গোধূলি-আলোয়, তাদের সকলেরই অনেক আপন-কথা, গোপন-কথা রয়ে গেছে এর ভেতরে। এমনকি আমার মৃত্যুর পরেও যাদের রক্তে শুরু হবে তুমুল শ্রাবণের চাষ-বাস, তাদের মুখগুলোও ভেসে উঠলো চোখে। অগত্যা ছিন্ন্-ভিন্ন ওই সব কাগজগুলোকে হেলাফেলায় মরতে দিতে পারলাম না আর।