খনামিহিরের ঢিপি খুব জটিল দূর অতীত, প্রাগৈতিহাসিক অতীত, ও বর্তমান সময়ের বিভিন্ন প্রজন্মের ভাঁজ খুলে খুলে দেখতে চাওয়ার কাহিনী। আদিম অরণ্যের জীবন থেকে উঠে এসেছে মাতঙ্গী, রঙ্কা, মধুরা, নিমেষ, ভগ, অর্যমা। সমসময়ের প্রতিনিধি রঞ্জা, ঈশা, নিশীথ, সুবীর। এদেরকে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে কাহিনী। গল্পের আশ্চর্য নির্মিতী ও মন্থনে উছলে উঠেছে প্রশ্নের পর প্রশ্ন। লিঙ্গ বিভাজন কেন, কবে থেকে, কী রকম? ভয়াবহ এর ইতিহাস, ক্রমবিকাশের ধারা। ভয়াবহ এখনকার স্বরূপ। মেয়েদের জন্য সে-সব নীতি-নিয়ম মূল্যবোধ আলাদা করে তৈরি করে যুগের পর যুগ তাদের ওপর, সমাজের ওপর চাপানো হয়েছে। মগজধোলাই করা হয়েছে। তার চেহারাটা যেমন স্থূল, তেমনই সূক্ষ্ম। একই সমাজে পুরুষের জন্য এক নীতি মেয়েদের জন্য আরেক এবং সে নীতির চাহিদা অতর্কিতে বদলে যায়। যখন যেমন বলছে তেমন করে তৈরি হতে হবে মেয়েদের। এই বলছে সুন্দরী, শান্তস্বভাব বিশিষ্ট ঘরোয়া পাত্রী চাই, সে পাত্রী পেল তো তার চাহিদা বদলে গেল, উপার্জন করো, নানা গুণ অর্জন করো, নইলে মার খাও। এই স্বৈরাচারী পুরুষ-চরিত্র ও পারিবারিক হিংসার চিত্র তুলে ধরেছেন লেখিকা। দেখিয়েছেন সতীদাহের অন্তর্গত ক্রুর বর্বরতা এখনও পরিবারে পরিবারে চালিয়ে যাচ্ছে উচ্চশিক্ষিত পদস্থ মানুষও। সমাধান কোথায়, কোন ভ্রান্তির কারণে মানবজাতি সভ্য হতে পারছে না? উত্তর খুঁজেছেন লেখিকা।
খনামিহিরের ঢিপি খুব জটিল দূর অতীত, প্রাগৈতিহাসিক অতীত, ও বর্তমান সময়ের বিভিন্ন প্রজন্মের ভাঁজ খুলে খুলে দেখতে চাওয়ার কাহিনী। আদিম অরণ্যের জীবন থেকে উঠে এসেছে মাতঙ্গী, রঙ্কা, মধুরা, নিমেষ, ভগ, অর্যমা। সমসময়ের প্রতিনিধি রঞ্জা, ঈশা, নিশীথ, সুবীর। এদেরকে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে কাহিনী। গল্পের আশ্চর্য নির্মিতী ও মন্থনে উছলে উঠেছে প্রশ্নের পর প্রশ্ন। লিঙ্গ বিভাজন কেন, কবে থেকে, কী রকম? ভয়াবহ এর ইতিহাস, ক্রমবিকাশের ধারা। ভয়াবহ এখনকার স্বরূপ। মেয়েদের জন্য সে-সব নীতি-নিয়ম মূল্যবোধ আলাদা করে তৈরি করে যুগের পর যুগ তাদের ওপর, সমাজের ওপর চাপানো হয়েছে। মগজধোলাই করা হয়েছে। তার চেহারাটা যেমন স্থূল, তেমনই সূক্ষ্ম। একই সমাজে পুরুষের জন্য এক নীতি মেয়েদের জন্য আরেক এবং সে নীতির চাহিদা অতর্কিতে বদলে যায়। যখন যেমন বলছে তেমন করে তৈরি হতে হবে মেয়েদের। এই বলছে সুন্দরী, শান্তস্বভাব বিশিষ্ট ঘরোয়া পাত্রী চাই, সে পাত্রী পেল তো তার চাহিদা বদলে গেল, উপার্জন করো, নানা গুণ অর্জন করো, নইলে মার খাও। এই স্বৈরাচারী পুরুষ-চরিত্র ও পারিবারিক হিংসার চিত্র তুলে ধরেছেন লেখিকা। দেখিয়েছেন সতীদাহের অন্তর্গত ক্রুর বর্বরতা এখনও পরিবারে পরিবারে চালিয়ে যাচ্ছে উচ্চশিক্ষিত পদস্থ মানুষও। সমাধান কোথায়, কোন ভ্রান্তির কারণে মানবজাতি সভ্য হতে পারছে না? উত্তর খুঁজেছেন লেখিকা।