জন্ম থেকে জীবনের অন্তিমলগ্ন পর্যন্ত অভাবিত দুর্ভাগ্যের তমসা যাঁর ছায়াসঙ্গিনী, তাকেই সন্ধানী আলোয় নবরূপে নবতর আবিষ্কারের প্রয়াস। কেবল রামায়ণের ধ্বনিসাম্যে সীতায়ন নয়, এই ধ্রুপদী উপন্যাস জনকনন্দিনী সীতার জীবন-পরিক্রমার এক আধুনিক গদ্যগাথা। ষষ্ঠত্রিংশতি বর্ষে উপনীতা সীতা তখন সন্তানসম্ভবা। এই আলোকসামান্যা চিরন্তনী সেই মুহূর্তে হোমশিখার মতো পবিত্র মাতৃত্বের বিভায়। বহুন আকাঙ্ক্ষিত সুখমরুৎ-এর স্পর্শ অনুভব করছেন তিনি। সহসা প্রজানুরঞ্জক রাম লোকাপবাদের ভয়ে বৈদেহীকে বিসর্জনের সংকল্প নিলেন। তাঁর আদেশে নৈমিষারণ্যে বাল্মীকির আশ্রমসংলগ্ন একটি স্থানে সীতাকে নির্বাসনে রেখে গেলেন লক্ষণ। গর্ভিণী স্ত্রী ও গর্ভস্থ সন্তানকে উপেক্ষা করে দাশরথি সেদিন রাষ্ট্রতত্ত্বকে উচ্চে স্থান দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আর্য-রাষ্ট্রতত্ত্ব আসলে হৃদয়হীন পুরুষশাসনের আগ্রাসন ও বিবিধ উদ্দেশ্যসাধনের শস্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। চির দুঃখের পথে চলতে চলতে লব-কুশের জননী এই সত্যটি উপলব্ধি করে হয়ে উঠেছিলেন এক পরিবর্তিত, আত্মনির্ভর, স্বয়ম্প্রভ সীতা। কিন্তু কীভাবে ? কোন্ তপশ্চর্যায় ? তারই নিবিড় আলেখ্য মল্লিকা সেনগুপ্তের এই অভিনব উপন্যাস।
জন্ম থেকে জীবনের অন্তিমলগ্ন পর্যন্ত অভাবিত দুর্ভাগ্যের তমসা যাঁর ছায়াসঙ্গিনী, তাকেই সন্ধানী আলোয় নবরূপে নবতর আবিষ্কারের প্রয়াস। কেবল রামায়ণের ধ্বনিসাম্যে সীতায়ন নয়, এই ধ্রুপদী উপন্যাস জনকনন্দিনী সীতার জীবন-পরিক্রমার এক আধুনিক গদ্যগাথা। ষষ্ঠত্রিংশতি বর্ষে উপনীতা সীতা তখন সন্তানসম্ভবা। এই আলোকসামান্যা চিরন্তনী সেই মুহূর্তে হোমশিখার মতো পবিত্র মাতৃত্বের বিভায়। বহুন আকাঙ্ক্ষিত সুখমরুৎ-এর স্পর্শ অনুভব করছেন তিনি। সহসা প্রজানুরঞ্জক রাম লোকাপবাদের ভয়ে বৈদেহীকে বিসর্জনের সংকল্প নিলেন। তাঁর আদেশে নৈমিষারণ্যে বাল্মীকির আশ্রমসংলগ্ন একটি স্থানে সীতাকে নির্বাসনে রেখে গেলেন লক্ষণ। গর্ভিণী স্ত্রী ও গর্ভস্থ সন্তানকে উপেক্ষা করে দাশরথি সেদিন রাষ্ট্রতত্ত্বকে উচ্চে স্থান দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আর্য-রাষ্ট্রতত্ত্ব আসলে হৃদয়হীন পুরুষশাসনের আগ্রাসন ও বিবিধ উদ্দেশ্যসাধনের শস্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। চির দুঃখের পথে চলতে চলতে লব-কুশের জননী এই সত্যটি উপলব্ধি করে হয়ে উঠেছিলেন এক পরিবর্তিত, আত্মনির্ভর, স্বয়ম্প্রভ সীতা। কিন্তু কীভাবে ? কোন্ তপশ্চর্যায় ? তারই নিবিড় আলেখ্য মল্লিকা সেনগুপ্তের এই অভিনব উপন্যাস।