আত্মকথা বা আত্মচরিত নয়, পাথুরে ইতিহাসও নয়। 'বাঙালনামা' অবিস্তৃত সমাজজীবনের কাহিনি। 'রোমান্থন'-খ্যাত লেখকের কলমে ভিন্ন স্বাদের স্মৃতিকথা। হারিয়ে যাওয়া ধুসর জগতের কিংবা হারাতে থাকা সময়ের নিবিড় আবরণ। এই স্মৃতিকথার শুরু ১৯২৬ সাল, অর্থাৎ লেখকের জন্মের বছর থেকে। তারপর বর্তমান কাল অবধি এর সময়সীমা। ফেলে আসা আশি বছরে অতি দ্রুত নিজেকে বদলাতে থাকা সময়, লেখকের শৈশব-কৈশোরের পূর্ববঙ্গ, সেখানকার বিস্মৃত মানুষজন এবং বিলুপ্ত জীবনযাত্রা, পঞ্চাশের দশকের অক্সফোর্ড আর এখনকার সেই পশ্চিমি নালন্দা, গতশতাব্দী জুড়ে মহাদেশ থেকে মহাদেশে লেখকের সফর ও সুদীর্ঘ প্রবাসজীবন ব্যপ্ত হয়ে আছে এই রচনায়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রজ্ঞা আর রসমাধুর্যে ভরপুর এক পথিকজীবনের ইতিবৃত্ত 'বাঙালনামা'।
'বাঙালনামা'য় তপন রায়চৌধুরী ঝালকাঠির কীর্তিপাশা জমিদারবাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। এ জমিদারবাড়িতেই ১৯২৬ সালে তাঁর জন্ম। তিনি বরিশাল জিলা স্কুল, কলকাতা বালিগঞ্জ জগদ্বন্ধু ইনস্টিটিউট, বালিগঞ্জ সরকারি হাই স্কুল, কলকাতা স্কটিশ কলেজ ও প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন। তাঁর চর্চার মূল বিষয় ছিল ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাস, ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাস ও বাংলার ইতিহাস। তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপক ছিলেন। দিল্লি স্কুল অব ইকোনমিকসে বেশ কিছুকাল শিক্ষকতা করেছেন। তাঁকে ১৯৯৩ সালে ডক্টর অব লেটারস সম্মান দেয় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। ২০০৭ সালে তপন রায়চৌধুরীকে পদ্মভূষণ সম্মান প্রদান করে ভারত সরকার। তাঁর কয়েকটি বিখ্যাত বই 'বেঙ্গল আন্ডার আকবর অ্যান্ড জাহাঙ্গীর : অ্যান ইন্ট্রোডাক্টরি স্টাডি ইন সোশ্যাল হিস্ট্রি', 'দ্য ওয়ার্ল্ড ইন আওয়ার টাইম' প্রভৃতি।
আত্মকথা বা আত্মচরিত নয়, পাথুরে ইতিহাসও নয়। 'বাঙালনামা' অবিস্তৃত সমাজজীবনের কাহিনি। 'রোমান্থন'-খ্যাত লেখকের কলমে ভিন্ন স্বাদের স্মৃতিকথা। হারিয়ে যাওয়া ধুসর জগতের কিংবা হারাতে থাকা সময়ের নিবিড় আবরণ। এই স্মৃতিকথার শুরু ১৯২৬ সাল, অর্থাৎ লেখকের জন্মের বছর থেকে। তারপর বর্তমান কাল অবধি এর সময়সীমা। ফেলে আসা আশি বছরে অতি দ্রুত নিজেকে বদলাতে থাকা সময়, লেখকের শৈশব-কৈশোরের পূর্ববঙ্গ, সেখানকার বিস্মৃত মানুষজন এবং বিলুপ্ত জীবনযাত্রা, পঞ্চাশের দশকের অক্সফোর্ড আর এখনকার সেই পশ্চিমি নালন্দা, গতশতাব্দী জুড়ে মহাদেশ থেকে মহাদেশে লেখকের সফর ও সুদীর্ঘ প্রবাসজীবন ব্যপ্ত হয়ে আছে এই রচনায়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রজ্ঞা আর রসমাধুর্যে ভরপুর এক পথিকজীবনের ইতিবৃত্ত 'বাঙালনামা'।
'বাঙালনামা'য় তপন রায়চৌধুরী ঝালকাঠির কীর্তিপাশা জমিদারবাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। এ জমিদারবাড়িতেই ১৯২৬ সালে তাঁর জন্ম। তিনি বরিশাল জিলা স্কুল, কলকাতা বালিগঞ্জ জগদ্বন্ধু ইনস্টিটিউট, বালিগঞ্জ সরকারি হাই স্কুল, কলকাতা স্কটিশ কলেজ ও প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন। তাঁর চর্চার মূল বিষয় ছিল ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাস, ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাস ও বাংলার ইতিহাস। তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপক ছিলেন। দিল্লি স্কুল অব ইকোনমিকসে বেশ কিছুকাল শিক্ষকতা করেছেন। তাঁকে ১৯৯৩ সালে ডক্টর অব লেটারস সম্মান দেয় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। ২০০৭ সালে তপন রায়চৌধুরীকে পদ্মভূষণ সম্মান প্রদান করে ভারত সরকার। তাঁর কয়েকটি বিখ্যাত বই 'বেঙ্গল আন্ডার আকবর অ্যান্ড জাহাঙ্গীর : অ্যান ইন্ট্রোডাক্টরি স্টাডি ইন সোশ্যাল হিস্ট্রি', 'দ্য ওয়ার্ল্ড ইন আওয়ার টাইম' প্রভৃতি।