রূপনগরের লোকজন ঘোড়ামাসুদকে নিয়ে গল্পগুজব করে। তাদের গল্পগুলো জটপাকানো; তারা আগের ঘটনা পরে আর পরের ঘটনা আগে বলে, বলতে বলতে প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়; তারা ঘোড়ামাসুদের কথা বলতে বলতে রহিম বিহারির মৃত্যুর ঘটনায় ঘোড়ামাসুদের ভূমিকা স্মরণ করে; অথবা শুরু করে কমরেড জব্বার আলি মিয়ার গল্প; যিনি কমিউনিস্ট হয়েও শেখ মুজিবকে ভালোবাসতেন মণি সিংয়ের চেয়ে বেশি; যিনি রেডিওতে মেজর ডালিমের কণ্ঠে শেখ সাহেবের হত্যার ঘোষণা শুনে আর্তনাদ করে উঠেছিলেন, ‘সব্বোনাশ হয়া গেল রে!’ অথবা হঠাৎ তাদের মনে পড়ে, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান যুদ্ধের পর ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছিল, তার পুরোনো বন্ধুরা তার কাছে তদবিরের জন্য গিয়ে বিরানি খাওয়াতে চাইলে সে বলত, ‘হাবিব বিরানি খায় না রে, ট্যাকা খায়, ট্যাকা!’ অথবা ঘোড়ামাসুদের শহীদ জিয়ার সৈনিক থেকে মুজিবসেনায় এবং মুজিবসেনা থেকে ফের শহীদ জিয়ার সৈনিকে রূপান্তরের গল্প বলতে বলতে তারা আইয়ুব খানকে স্মরণ করে বলে যে পাকিস্তান আমলের দিনগুলি এখনকার চেয়ে ভালো ছিল; অথবা ঘোড়ামাসুদের নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে তারা বলে যে ঘোড়ামাসুদ অমুক লোককে জবাই করে জেলা স্কুল মাঠের টিউবঅয়েলে হাতমুখ ধুয়ে পকেট থেকে সিগারেট বের করে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ধূমপান করেছিল, অমুক ছেলের চার হাত-পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুঁড়া করেছিল; অথবা ঘোড়ামাসুদ এক সাংবাদিককে বলেছিল ‘আপনাক্ জবো করে আপনার মাথাডা পাঠায়ে দিব আপনার আম্মার কাছে, আর ধড়টা ফালায়ে র্যাখে আসব স্বরাষ্টমন্ত্রীর বাড়ির গেটের সামনে।'
রূপনগরের লোকজন ঘোড়ামাসুদকে নিয়ে গল্পগুজব করে। তাদের গল্পগুলো জটপাকানো; তারা আগের ঘটনা পরে আর পরের ঘটনা আগে বলে, বলতে বলতে প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়; তারা ঘোড়ামাসুদের কথা বলতে বলতে রহিম বিহারির মৃত্যুর ঘটনায় ঘোড়ামাসুদের ভূমিকা স্মরণ করে; অথবা শুরু করে কমরেড জব্বার আলি মিয়ার গল্প; যিনি কমিউনিস্ট হয়েও শেখ মুজিবকে ভালোবাসতেন মণি সিংয়ের চেয়ে বেশি; যিনি রেডিওতে মেজর ডালিমের কণ্ঠে শেখ সাহেবের হত্যার ঘোষণা শুনে আর্তনাদ করে উঠেছিলেন, ‘সব্বোনাশ হয়া গেল রে!’ অথবা হঠাৎ তাদের মনে পড়ে, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান যুদ্ধের পর ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছিল, তার পুরোনো বন্ধুরা তার কাছে তদবিরের জন্য গিয়ে বিরানি খাওয়াতে চাইলে সে বলত, ‘হাবিব বিরানি খায় না রে, ট্যাকা খায়, ট্যাকা!’ অথবা ঘোড়ামাসুদের শহীদ জিয়ার সৈনিক থেকে মুজিবসেনায় এবং মুজিবসেনা থেকে ফের শহীদ জিয়ার সৈনিকে রূপান্তরের গল্প বলতে বলতে তারা আইয়ুব খানকে স্মরণ করে বলে যে পাকিস্তান আমলের দিনগুলি এখনকার চেয়ে ভালো ছিল; অথবা ঘোড়ামাসুদের নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে তারা বলে যে ঘোড়ামাসুদ অমুক লোককে জবাই করে জেলা স্কুল মাঠের টিউবঅয়েলে হাতমুখ ধুয়ে পকেট থেকে সিগারেট বের করে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ধূমপান করেছিল, অমুক ছেলের চার হাত-পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুঁড়া করেছিল; অথবা ঘোড়ামাসুদ এক সাংবাদিককে বলেছিল ‘আপনাক্ জবো করে আপনার মাথাডা পাঠায়ে দিব আপনার আম্মার কাছে, আর ধড়টা ফালায়ে র্যাখে আসব স্বরাষ্টমন্ত্রীর বাড়ির গেটের সামনে।'