এ-এক আশ্চর্য রমণীর কথা। পুরাতনী ভারতবর্ষে জন্ম নিয়েছিল সেই রমণী। আর্য সমাজে নয়। ধীবরকুলে। সেই মৎস্যগন্ধা নারী একসময় হয়ে ওঠে যোজনগন্ধা। সে কালিন্দী। ভারতের সবচেয়ে গৌরবময় বংশের মহারানি সে।
যমুনার স্বচ্ছ নীল জলে সেদিন রুপোর মতো চাঁদ বিম্বিত হয়ে রয়েছে, ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে রুপোর কুচি। বড় শোভা। সেই কলস্বনা যমুনা, যার আরেক নাম কালিন্দী, তার তীরে দাঁড়িয়ে এক রমণী। চাঁদের আলোয় দেখতে পাচ্ছি সে কৃষ্ণা এবং নতনাস, তার দৈর্ঘ্যও খুব বেশি নয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও বড়ই চিত্তাকর্ষক সে। ফণাধরা লতার মতো তাঁর কোঁকড়ানো চুল ছড়িয়ে রয়েছে কাঁদের পরে। এদিক ওদিক উলটানো রয়েছে ডিঙি নৌকা, খুঁটি পুতে পুতে মেলা রয়েছে মাছ ধরার জাল। সবকিছুর উপর চিকচিক করছে চাঁদের হাসি। রমণী কিছুই দেখছে না, কী এক ভেতরের আবেগে ফুলে ফুলে উঠছে , ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে তার চোখে ছলছল জল, মুখে খেলা করছে বিচিত্র এক মোনালিসা হাসি। সে খুশি, খুব খুশি, সেই সঙ্গে তাকে ভর করেছে কী এক অস্বস্তি। সেটা শঙ্কার কাছাকাছি।
এ-এক আশ্চর্য রমণীর কথা। পুরাতনী ভারতবর্ষে জন্ম নিয়েছিল সেই রমণী। আর্য সমাজে নয়। ধীবরকুলে। সেই মৎস্যগন্ধা নারী একসময় হয়ে ওঠে যোজনগন্ধা। সে কালিন্দী। ভারতের সবচেয়ে গৌরবময় বংশের মহারানি সে।
যমুনার স্বচ্ছ নীল জলে সেদিন রুপোর মতো চাঁদ বিম্বিত হয়ে রয়েছে, ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে রুপোর কুচি। বড় শোভা। সেই কলস্বনা যমুনা, যার আরেক নাম কালিন্দী, তার তীরে দাঁড়িয়ে এক রমণী। চাঁদের আলোয় দেখতে পাচ্ছি সে কৃষ্ণা এবং নতনাস, তার দৈর্ঘ্যও খুব বেশি নয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও বড়ই চিত্তাকর্ষক সে। ফণাধরা লতার মতো তাঁর কোঁকড়ানো চুল ছড়িয়ে রয়েছে কাঁদের পরে। এদিক ওদিক উলটানো রয়েছে ডিঙি নৌকা, খুঁটি পুতে পুতে মেলা রয়েছে মাছ ধরার জাল। সবকিছুর উপর চিকচিক করছে চাঁদের হাসি। রমণী কিছুই দেখছে না, কী এক ভেতরের আবেগে ফুলে ফুলে উঠছে , ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে তার চোখে ছলছল জল, মুখে খেলা করছে বিচিত্র এক মোনালিসা হাসি। সে খুশি, খুব খুশি, সেই সঙ্গে তাকে ভর করেছে কী এক অস্বস্তি। সেটা শঙ্কার কাছাকাছি।