মাঝ রাত। রুমের সাথে লাগোয়া বাথরুমে পানি পড়ার আওয়াজে আয়শা বেগমের ঘুম ভেঙে গেল। এমন জোরে 'ছড়-ছড়' করে আওয়াজটা হচ্ছে, কেউ যেন বাথরুমে গোসল করছে। কিন্তু এত রাতে কে আবার গোসল করবে? তারচেয়েও আশ্চর্যের ব্যাপার, বাড়িতে তো তিনি একা!
সদ্য ঘুম ভাঙা আয়শা বেগম বিছানা থেকে নেমে গুটি-গুটি পায়ে বাথরুমের দিকে এগিয়ে গেলেন। ছিটকিনি খুলে বাথরুমের দরজা মেলতেই নাকে লাগল সাবান-লোবান-কপূর আর মুগদা আতরের তীব্র ঘ্রাণ। পরক্ষণেই দেখতে পেলেন, বাথরুমের মেঝেতে ফেলে কে যেন একটা লাশ গোসল করাচ্ছে।
লাশটা একজন ষাটোর্ধ মহিলার। ঘষে-ডলে লাশটাকে যে গোসল করাচ্ছে, সাদা শাড়ি পরা লম্বা ঘোমটা টানা আরেক মহিলা।
চরম আতংকে জমে যাওয়া আয়শা বেগম কোনোক্রমে কাঁপা স্বরে তোতলাতে-তোতলাতে বলে উঠলেন, 'এখানে এসব কী হচ্ছে?'
লম্বা ঘোমটা টানা মাহিলাটা এবারে মাথা ঘুরিয়ে পিছন ফিরে তাকালো। মাথা থেকে ঘোমটা খসে পড়ে তার মুখ দেখা গেল। ভয়ানক বিদঘুটে চেহারা! তারচেয়েও সাংঘাতিক ব্যাপারটা হলো, যে লাশটা গোসল করানো হচ্ছে, সেই লাশের চেহারা, আর এই মহিলার মুখের আদল একই। যেন দুজনই একই মানুষ। পার্থক্য শুধু একটাই, সাদা শাড়ি পরা এই মহিলার মুখটা ছোপ-ছোপ দাগে ভরা ক্ষতবিক্ষত।
সাদা শাড়ি পরা মহিলা ভয়ানক হাসি দিয়ে বলে উঠল, 'দেখছিস না লাশ গোসল করাচ্ছি, এটা যে তোরই লাশ!'
আয়শা বেগম লাশের মুখের দিকে ভালোভাবে খেয়াল করে দেখলেন, সত্যিই তো, লাশের চেহারা একদম তাঁর নিজের চেহারা! এই জন্যেই বুঝি শুরুতেই মুখটা কেমন পরিচিত মনে হয়েছে। তবে তো বিকৃত চেহারার যে মহিলা লাশ গোসল করাচ্ছে, সে-ও তাঁর নিজের মতো চেহারার আরেকজন।
লাশ গোসল করানো সাদা শাড়ি পরা মহিলা যেন আয়শা বেগমের মনের অবস্থা বুঝতে পেরেই গা কাঁপিয়ে 'খিক-খিক' করে হাসতে লাগল। সেই ভয়ংকর হাসিমুখ দেখে আয়শা বেগম আর নিতে পারলেন না। মাথা ঘুরে চোখে অন্ধকার নেমে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়লেন।
মাঝ রাত। রুমের সাথে লাগোয়া বাথরুমে পানি পড়ার আওয়াজে আয়শা বেগমের ঘুম ভেঙে গেল। এমন জোরে 'ছড়-ছড়' করে আওয়াজটা হচ্ছে, কেউ যেন বাথরুমে গোসল করছে। কিন্তু এত রাতে কে আবার গোসল করবে? তারচেয়েও আশ্চর্যের ব্যাপার, বাড়িতে তো তিনি একা!
সদ্য ঘুম ভাঙা আয়শা বেগম বিছানা থেকে নেমে গুটি-গুটি পায়ে বাথরুমের দিকে এগিয়ে গেলেন। ছিটকিনি খুলে বাথরুমের দরজা মেলতেই নাকে লাগল সাবান-লোবান-কপূর আর মুগদা আতরের তীব্র ঘ্রাণ। পরক্ষণেই দেখতে পেলেন, বাথরুমের মেঝেতে ফেলে কে যেন একটা লাশ গোসল করাচ্ছে।
লাশটা একজন ষাটোর্ধ মহিলার। ঘষে-ডলে লাশটাকে যে গোসল করাচ্ছে, সাদা শাড়ি পরা লম্বা ঘোমটা টানা আরেক মহিলা।
চরম আতংকে জমে যাওয়া আয়শা বেগম কোনোক্রমে কাঁপা স্বরে তোতলাতে-তোতলাতে বলে উঠলেন, 'এখানে এসব কী হচ্ছে?'
লম্বা ঘোমটা টানা মাহিলাটা এবারে মাথা ঘুরিয়ে পিছন ফিরে তাকালো। মাথা থেকে ঘোমটা খসে পড়ে তার মুখ দেখা গেল। ভয়ানক বিদঘুটে চেহারা! তারচেয়েও সাংঘাতিক ব্যাপারটা হলো, যে লাশটা গোসল করানো হচ্ছে, সেই লাশের চেহারা, আর এই মহিলার মুখের আদল একই। যেন দুজনই একই মানুষ। পার্থক্য শুধু একটাই, সাদা শাড়ি পরা এই মহিলার মুখটা ছোপ-ছোপ দাগে ভরা ক্ষতবিক্ষত।
সাদা শাড়ি পরা মহিলা ভয়ানক হাসি দিয়ে বলে উঠল, 'দেখছিস না লাশ গোসল করাচ্ছি, এটা যে তোরই লাশ!'
আয়শা বেগম লাশের মুখের দিকে ভালোভাবে খেয়াল করে দেখলেন, সত্যিই তো, লাশের চেহারা একদম তাঁর নিজের চেহারা! এই জন্যেই বুঝি শুরুতেই মুখটা কেমন পরিচিত মনে হয়েছে। তবে তো বিকৃত চেহারার যে মহিলা লাশ গোসল করাচ্ছে, সে-ও তাঁর নিজের মতো চেহারার আরেকজন।
লাশ গোসল করানো সাদা শাড়ি পরা মহিলা যেন আয়শা বেগমের মনের অবস্থা বুঝতে পেরেই গা কাঁপিয়ে 'খিক-খিক' করে হাসতে লাগল। সেই ভয়ংকর হাসিমুখ দেখে আয়শা বেগম আর নিতে পারলেন না। মাথা ঘুরে চোখে অন্ধকার নেমে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়লেন।