নাম ছিল মনোজিৎ দাশগুপ্ত। হয়ে গেল শাফিন আহমেদ। এই শাফিন আহমেদের জীবন অত্যাশ্চর্য এক যাদুর বাক্স। এই বাক্স এতদিন বন্ধ ছিল। এবার খুলল। এখানে থরে থরে সাজানো তাঁর বিচিত্র পরিভ্রমণের গল্প। জন্ম কলকাতায়। অ্যান্থনিবাগান লেনে কাটানো শৈশব। সেখানে ভূতের উপদ্রব। আর বাবা কালজয়ী মহাপুরুষ কমল দাশগুপ্তের তুমুল ব্যস্ত জীবন। ঘরে মা ফিরোজা বেগম। তিনিও এক মহিয়সী মানুষ। বারো বছর বয়সে ফরিদপুর থেকে সোজা এইচএমভির স্টুডিওতে হানা। কার ঘরে? কবি কাজী নজরুল ইসলামের কক্ষে। সেখানে গান শোনানো। চমকে দেওয়া। সেইখান থেকে এই বাংলাদেশে আসা। মুক্তিযুদ্ধ। সঙ্গে দেশে ঠাঁই পাওয়ার লড়াই। সংসারের টানে বাংলাগানের রাজ্যের আশ্চর্য ক্ষমতাধর সঙ্গীতকার কমল দাশগুপ্ত এইদেশে এসে হাতিরপুল বাজারে একটা স্টেশনারি দোকান খুলে বসলেন। নাম 'পথিকার'। (জীবন কতভাবে কৌতুক করতে পারে মানুষকে নিয়ে!) শাফিন আহমেদ কৈশোরে পা রাখতে-রাখতেই নানান কৌতূহলের কাদায় পিছলে পড়ছিলেন। টের পেলেন মা। পাঠিয়ে দিলেন বিদেশে। সেখানেও অনেক গল্প। টিকে থাকার যুদ্ধ। কিন্তু বাঁচিয়ে দিল গান। গানের সাথে এল প্রেম। হল সংসার। বাজল ভাঙনের সুরও। একে-একে অনেক ভাঙনের পদধ্বনি শুনেছেন শাফিন। নিজের গানের দল মাইলস্-এ তুমুল দাবি নিয়ে প্রবেশ করেছেন। আবার বেরিয়ে পড়েছেন নতুন সুরের সন্ধানে। অভিমানে। স্টেজে, শো শেষে হার্টঅ্যাটাক হয়েছে দু'দুবার। তবুও গিটার ছাড়েননি। ছাড়েননি কণ্ঠ। কারণ গান-গিটার ছাড়েনি তাঁকেও। অভিমানী, বিপন্ন রাজকুমার শাফিন আহমেদের এই জীবন ঘটনাবাহুল্যের পরম পরাকাষ্ঠা। জীবনটাকে সত্যিকারের ভোগ করে নেয়া যাকে বলে, তা-ই তিনি করেছেন। কানায়কানায় আনন্দময় তাঁর এই সফর। করুণরসে ভর্তি তাঁর জীবনঘড়া।
নাম ছিল মনোজিৎ দাশগুপ্ত। হয়ে গেল শাফিন আহমেদ। এই শাফিন আহমেদের জীবন অত্যাশ্চর্য এক যাদুর বাক্স। এই বাক্স এতদিন বন্ধ ছিল। এবার খুলল। এখানে থরে থরে সাজানো তাঁর বিচিত্র পরিভ্রমণের গল্প। জন্ম কলকাতায়। অ্যান্থনিবাগান লেনে কাটানো শৈশব। সেখানে ভূতের উপদ্রব। আর বাবা কালজয়ী মহাপুরুষ কমল দাশগুপ্তের তুমুল ব্যস্ত জীবন। ঘরে মা ফিরোজা বেগম। তিনিও এক মহিয়সী মানুষ। বারো বছর বয়সে ফরিদপুর থেকে সোজা এইচএমভির স্টুডিওতে হানা। কার ঘরে? কবি কাজী নজরুল ইসলামের কক্ষে। সেখানে গান শোনানো। চমকে দেওয়া। সেইখান থেকে এই বাংলাদেশে আসা। মুক্তিযুদ্ধ। সঙ্গে দেশে ঠাঁই পাওয়ার লড়াই। সংসারের টানে বাংলাগানের রাজ্যের আশ্চর্য ক্ষমতাধর সঙ্গীতকার কমল দাশগুপ্ত এইদেশে এসে হাতিরপুল বাজারে একটা স্টেশনারি দোকান খুলে বসলেন। নাম 'পথিকার'। (জীবন কতভাবে কৌতুক করতে পারে মানুষকে নিয়ে!) শাফিন আহমেদ কৈশোরে পা রাখতে-রাখতেই নানান কৌতূহলের কাদায় পিছলে পড়ছিলেন। টের পেলেন মা। পাঠিয়ে দিলেন বিদেশে। সেখানেও অনেক গল্প। টিকে থাকার যুদ্ধ। কিন্তু বাঁচিয়ে দিল গান। গানের সাথে এল প্রেম। হল সংসার। বাজল ভাঙনের সুরও। একে-একে অনেক ভাঙনের পদধ্বনি শুনেছেন শাফিন। নিজের গানের দল মাইলস্-এ তুমুল দাবি নিয়ে প্রবেশ করেছেন। আবার বেরিয়ে পড়েছেন নতুন সুরের সন্ধানে। অভিমানে। স্টেজে, শো শেষে হার্টঅ্যাটাক হয়েছে দু'দুবার। তবুও গিটার ছাড়েননি। ছাড়েননি কণ্ঠ। কারণ গান-গিটার ছাড়েনি তাঁকেও। অভিমানী, বিপন্ন রাজকুমার শাফিন আহমেদের এই জীবন ঘটনাবাহুল্যের পরম পরাকাষ্ঠা। জীবনটাকে সত্যিকারের ভোগ করে নেয়া যাকে বলে, তা-ই তিনি করেছেন। কানায়কানায় আনন্দময় তাঁর এই সফর। করুণরসে ভর্তি তাঁর জীবনঘড়া।