ও বাড়িতে খুব অদ্ভূত একটা ব্যাপার ছিল। প্রতিদিন রান্নার পর উনুন থেকে নামানো প্রথম খাবারটা ভোগ চড়ানো হতো "অপদেবতা" কে। বিশাল রূপোর থালায় সাজানো হতো অষ্টব্যঞ্জন, কাটারিভোগ চালের ঝরঝরে চিকন ভাত আর তিন পদের আহামরি মিষ্টান্ন। সোনালী ঝালর বসানো লেসের ঢাকায় ঢেকে সেই থালাখানা রেখে আসা হতো ছাদের একটা নির্দিষ্ট স্থান... কুমারী কন্যাদের সেই ভোগের থালায় হাত ছোঁয়ানো বারণ ছিল। মাসের বিশেষ দিনগুলিতে মেয়ে মানুষের হেঁসেল ঘরে পা রাখাও বারণ ছিল। আর বারণ ছিল ও বাড়ির ছাদে যাওয়া। যত যাই হোক না কেন, ছাদে যাওয়া চলবে না।
কেবল যেতে পারতেন আলতাবানু... আলতাবানু একাই! অনি রূপসী এক পক্ককেশ বৃদ্ধা, হিংস্র এবং নিষ্ঠুর। ওই পুরাতন বাড়িটার ভয়াল অপদেবতার সাথে তার অদ্ভুত এক রকমের সম্পর্ক ছিল। লোকে বলে, বহু বহু বহু কাল আগে বুঝি অন্য কোন জীবনে আলতাবানু নামে এক ছোট্ট কিশোরী মেয়েকে চড়ানো হয়েছিল ওয়াল সেই অবদেবতার ভোগে।
লোকে বলে, ৬৯ বছর আগে হাওরে ডুবে যে কিশোরী নববধূর মৃত্যু হয়েছিল, তিনি আলতা বানু নন!
আলতাবানু নামের যে অদ্ভুত রূপসী বৃদ্ধা প্রতিরাতে চৌবাচ্চার হিমশীতল জলে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকে, তিনি নাকি আদতে কোন জীবিত মানুষই নন।
এবং লোকে বলে, আলতাবানুর অন্দরমহলে কুচকুচে কালো কোন বেড়াল ছানাও নেই, কখনো ছিল না। যদিও নুসরাত তাকে দেখতে পেতো প্রতি রাতেই।
ও বাড়িতে খুব অদ্ভূত একটা ব্যাপার ছিল। প্রতিদিন রান্নার পর উনুন থেকে নামানো প্রথম খাবারটা ভোগ চড়ানো হতো "অপদেবতা" কে। বিশাল রূপোর থালায় সাজানো হতো অষ্টব্যঞ্জন, কাটারিভোগ চালের ঝরঝরে চিকন ভাত আর তিন পদের আহামরি মিষ্টান্ন। সোনালী ঝালর বসানো লেসের ঢাকায় ঢেকে সেই থালাখানা রেখে আসা হতো ছাদের একটা নির্দিষ্ট স্থান... কুমারী কন্যাদের সেই ভোগের থালায় হাত ছোঁয়ানো বারণ ছিল। মাসের বিশেষ দিনগুলিতে মেয়ে মানুষের হেঁসেল ঘরে পা রাখাও বারণ ছিল। আর বারণ ছিল ও বাড়ির ছাদে যাওয়া। যত যাই হোক না কেন, ছাদে যাওয়া চলবে না।
কেবল যেতে পারতেন আলতাবানু... আলতাবানু একাই! অনি রূপসী এক পক্ককেশ বৃদ্ধা, হিংস্র এবং নিষ্ঠুর। ওই পুরাতন বাড়িটার ভয়াল অপদেবতার সাথে তার অদ্ভুত এক রকমের সম্পর্ক ছিল। লোকে বলে, বহু বহু বহু কাল আগে বুঝি অন্য কোন জীবনে আলতাবানু নামে এক ছোট্ট কিশোরী মেয়েকে চড়ানো হয়েছিল ওয়াল সেই অবদেবতার ভোগে।
লোকে বলে, ৬৯ বছর আগে হাওরে ডুবে যে কিশোরী নববধূর মৃত্যু হয়েছিল, তিনি আলতা বানু নন!
আলতাবানু নামের যে অদ্ভুত রূপসী বৃদ্ধা প্রতিরাতে চৌবাচ্চার হিমশীতল জলে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকে, তিনি নাকি আদতে কোন জীবিত মানুষই নন।
এবং লোকে বলে, আলতাবানুর অন্দরমহলে কুচকুচে কালো কোন বেড়াল ছানাও নেই, কখনো ছিল না। যদিও নুসরাত তাকে দেখতে পেতো প্রতি রাতেই।